কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ মেমু’ ট্রেনের যাত্রার শুরু Krishnanagar to Azimganj MEMU train পুজোর আগে থেকেই উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ঢল নামে। ইতিমধ্য়েই পুজোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকেই তিনটি জনপ্রিয় ট্রেনের গতি বাড়ছে বলেও জানিয়েছে রেল। এর ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে সেই ট্রেনগুলির সময়সূচিতে বদল হচ্ছে। ২০ বছর পর অবশেষে মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাগীরথী নদীর উপর নশিপুর রেল ব্রিজ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে আগামী ২ অক্টোবর। সেদিন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভার্চুয়ালি কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত একটি ‘মেমু’ ট্রেন যাত্রার উদ্বোধন করবেন । প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নশিপুর রেল ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।
তবে পরবর্তী সময়ে আজিমগঞ্জের দিকে জমি অধিগ্রহন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়াতে দীর্ঘদিন এই ব্রিজের কাজ বন্ধ ছিল। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে রেলের তরফ থেকে দ্রুত গতিতে জমি জট মিটিয়ে রেললাইন পাতার কাজ শেষ করা হয় এবং গত ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি এই রেল ব্রিজের উদ্বোধন করেন।
তবে মার্চ মাসে রেল ব্রিজের উদ্বোধন হয়ে গেলেও এখনও এই ব্রিজ দিয়ে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করেনি। মুর্শিদাবাদের বহু মানুষের অভিযোগ, এই ব্রিজ তৈরি হওয়ার ফলে জেলাবাসীর কোনও লাভই হয়নি। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরের কাছে নশিপুর এলাকাতে এই ব্রিজ, শিয়ালদহ-লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় বেশ কিছুটা কমবে বলে অনেকের ধারণা। এই ব্রিজের উপর দিয়ে এখন কেবলমাত্র মালগাড়ি চলাচল করে।
মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গৌরিশঙ্করঘোষ বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর আগামী ২ তারিখের যে কর্মসূচি আমাদের দেওয়া হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে রেলমন্ত্রী ঐদিন কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত একটি ‘মেমু ‘ ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন, যা নশিপুর ব্রিজের উপর দিয়ে যাবে। এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই রানাঘাট থেকে মালদা পর্যন্ত যাত্রা শুরু করবে দুটি লোকাল ট্রেন।
সেই ট্রেনও নাশিপুর রেল ব্রিজের উপর দিয়ে যাবে।’ গৌরীশঙ্করবাবু আরও জানান, ‘আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন লালবাগ শহর (মুর্শিদাবাদ স্টেশন) ছুঁয়ে নাশিপুর ব্রিজ দিয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাত্রা করবে। নতুন পথে ট্রেনগুলো উত্তরবঙ্গে যাত্রা শুরু করলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার কমবে। তার ফলে অনেক কম সময়ে কলকাতা থেকে সাধারণ মানুষ উত্তরবঙ্গে যেতে পারবেন।’